পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হলো মাধ্যমিক। এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে উচ্চমাধ্যমিক বা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন না। তবে, বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রকল্প চালু রয়েছে, যা মেধাবী ও দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
এই ব্লগে, আমরা মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সেরা ৫টি স্কলারশিপ সম্পর্কে আলোচনা করব, যেগুলো থেকে বার্ষিক ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়।
১. স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মিন্স স্কলারশিপ (SVMCM)
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- স্কলারশিপের পরিমাণ: বার্ষিক ১২,০০০ টাকা
- যোগ্যতা: মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬০% বা তার বেশি নম্বর
- আয় সীমা: পরিবারের বার্ষিক আয় ৬০,০০০ টাকার কম
- আবেদনের সময়: সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে
কেন এই স্কলারশিপ?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই স্কলারশিপটি রাজ্যের মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চালু করা হয়েছে। এটি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্য করে।
আবেদনের লিঙ্ক:
২. নবান্ন স্কলারশিপ
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- স্কলারশিপের পরিমাণ: বার্ষিক ১০,০০০ টাকা
- যোগ্যতা: মাধ্যমিকে ৬০% বা বেশি নম্বর
- আয় সীমা: বার্ষিক পারিবারিক আয় ৬০,০০০ টাকার কম
- আবেদনের সময়: সারা বছর
কেন এই স্কলারশিপ?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই স্কলারশিপটি মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হয়েছে। এটি রাজ্যের পিছিয়ে পড়া ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদান করে।
আবেদনের জন্য:
৩. ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- স্কলারশিপের পরিমাণ: বার্ষিক ১০,২০০ টাকা
- যোগ্যতা: মাধ্যমিকে ৬০% বা বেশি নম্বর
- আয় সীমা: বার্ষিক পারিবারিক আয় ২ লক্ষ টাকার কম
- লক্ষ্য গ্রুপ: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রী
কেন এই স্কলারশিপ?
এই স্কলারশিপটি পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু (মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি) মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
আবেদনের লিঙ্ক:
৪. সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- স্কলারশিপের পরিমাণ: মাসিক ৫০০ থেকে ২,৫০০ টাকা
- যোগ্যতা: মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বা স্নাতক স্তরে পড়াশোনা
- আয় সীমা: বার্ষিক পারিবারিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার কম
কেন এই স্কলারশিপ?
এটি একটি বেসরকারি স্কলারশিপ, যা মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
আবেদনের লিঙ্ক:
৫. LIC গোল্ডেন জুবিলী স্কলারশিপ
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- স্কলারশিপের পরিমাণ: বার্ষিক ১৫,০০০ টাকা
- যোগ্যতা: মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক/স্নাতকে ৬০% বা বেশি নম্বর
- আয় সীমা: বার্ষিক পারিবারিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার কম
কেন এই স্কলারশিপ?
LIC-এর এই স্কলারশিপটি উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চালু করা হয়েছে। এটি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ।
আবেদনের লিঙ্ক:
মাধ্যমিক পাশ করার পর অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী আর্থিক সমস্যার কারণে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন না। তবে, উপরের স্কলারশিপ গুলো তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ বয়ে আনে।
👉 স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মিন্স স্কলারশিপ (১২,০০০ টাকা)
👉 নবান্ন স্কলারশিপ (১০,০০০ টাকা)
👉 ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ (১০,২০০ টাকা)
👉 সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ (৫০০-২,৫০০ টাকা/মাস)
👉 LIC গোল্ডেন জুবিলী স্কলারশিপ (১৫,০০০ টাকা)
এই স্কলারশিপগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার উচ্চশিক্ষার পথকে আরও সুগম করতে পারেন। তাই, আর দেরি না করে আজই আবেদন করুন এবং আপনার ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করুন!